ঋণখেলাপিরা জাতির ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘যে টাকাটা অন্যখানে বিনিয়োগ করা যেতো, ঋণখেলাপিরা সে টাকা গুম করে দেন। গণমাধ্যমে এই ঋণখেলাপিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হবে।’
বুধবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের তালিকা কয়েক দফায় জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সংসদ সদস্যরা লিস্ট দেখতে চেয়েছেন। আমি সেভাবে কয়েকবার ঋণখেলাপিদের নাম দিয়েছি। তবে, তাদের নাম ঠিকানা কাগজে (পত্রপত্রিকায়) প্রকাশের চিন্তা কখনো করিনি। বিষয়টি এখনও ভেবে দেখিনি। তবে নিশ্চয়ই করতে পারি।এই প্রস্তাবটি বিবেচনার উপযুক্ত বলে মনে করি। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সময় সময় তাদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে।’
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে জাতিরসংঘের প্রদেয় বিভিন্ন চাঁদা বাংলাদেশের হার ২০২৭ সালের পর পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জাতিসংঘের এলডিসি ফান্ড হতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য Green Environment Fund (GEF) কর্তৃক প্রদেয় সুবিধার পরিমাণ হ্রাস পাবে।’